লেখকের কথা

IP Sohel Teaching Home’ শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক মাসিক পত্রিকা। শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞাত করার জন্য আবশ্যক তথ্য ও তত্ত্বের সমাবেশ এখানে থাকছে, যাতে তারা ক্যারিয়ার গঠনে সর্বাত্মক সহায়তা লাভ করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যদি তারা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সঠিক পথ নির্দেশ পায়, তাহলে তাদের ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় জীবনেরও সাফল্য নিশ্চিত হবে। কারণ অজস্র একক ব্যক্তির সাফল্য বস্তুত রাষ্ট্রেরই সাফল্য। আর ব্যক্তির একক কৃতিত্ব যদি সমষ্টির কৃতিত্ব হয়ে ওঠে, তবে সমাজ জীবনে আসে আমূল ইতিবাচক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন পিয়াসা থেকে ‘Ip Sohel Teaching Home' পথ চলা। আমাদের পথ চলায় সকলকে সারথি হওয়ার সাদর আমন্ত্রণ।


একথা সত্য যে, পৃথিবীর বহু দেশ একুশ শতকের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে প্রবেশ করার উপযোগী হয়ে ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। আমাদের বর্তমান অবস্থা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। স্বাধীনতার চার দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পর কেন এমন হবে? এ জিজ্ঞাসা বিদগ্ধজনদের। আমরাও এ জিজ্ঞাসার সাথে একাত্ম। তবে আমরা জিজ্ঞাসা করেই বসে থাকতে সম্মত নই। তাই আমরা পথ চলতে চাই সাহসী ও দৃপ্ত পায়ে। সে জন্য স্বপ্ন দেখছি এবং পথ নির্মাণে সচেষ্ট হয়েছি।

‘Ip Sohel Teaching Home’তে আমরা সকলকে প্রাণিত করার জন্য বহুবিচিত্র বিষয়বস্তুর সমাবেশ ঘটিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি ‘Ip Sohel Teaching Home’ পাঠকবৃন্দকে সুন্দর আগামী নির্মাণে সহায়তা করবে।

আশা করছি একসময় বাংলা ভাষাসহ ইংরেজি ভাষায়ও পত্রিকার সংস্করণ প্রকাশ করব। দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিচরণ করবে IP Sohel Teaching Home। সে কারণে নামকরণ করা হয়েছে ‘Ip Sohel Teaching Home’।

ভালো রেজাল্ট করাটা খুবই সহজ .

ভাল ছাত্র হওয়ার উপায়

এদেশে যার নম্বর বেশি সেই ভাল ছাত্র। নম্বর পাওয়া একটু কষ্ট করলে খুব সহজ।
১) টিচার ব্লাকবোর্ডে যা লিখে এবং মুখে যা বলে তা হুবুহু মুখস্থ করতে হবে। এজন্য খাতা আর টেপ রেকর্ডার ইউজ করতে পারেন। অনেক কাজে দেবে।
২) অতিরিক্ত স্মার্ট হবার চেষ্টা না করা। টিচার ইজ অলওয়েজ রাইট। এই নীতি অবলম্বন করতে হবে। কিপ্টেমি করে টিচারকে বা ডিপার্টমেন্টকে তোষামোদি করতে পারেন। যদিও এসবের দরকার নেই।
৩) ব্যবহারিক ক্লাসের ক্ষেত্রে আপনাক ইন্সট্রাক্টরকে বোঝাতে হবে আমি অনেক পরিশ্রম করছেন। আর ব্যবহারিক ক্লাসে কোন থিউরিটিকাল কিছু থাকলে সেখানে ইন্সট্রাক্টরের মুখের কথা বা বোর্ডের লেখা হুবুহু লিখতে হবে।
৪) পরিচিত হবার জন্য টিচার বা ইন্সট্রাক্টরকে এমন সব কোশ্চেন করতে হবে যার উত্তর সে জানে এবং খুব ভালভাবে দিতে পারবে। আটকানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৫) সর্বদা গ্রুপ স্টাডি করা উচিৎ। যারা কখনও এটা করেননি তারা বিশাল একটা জিনিষ মিস করছেন। দ্রুত শুরু করুন। এতে আপনার সময় অনেক বাঁচবে। ১০ ঘন্টার পড়া ২ ঘন্টায় হবে। এবং বাকী ৮ ঘন্টা আড্ডা মারতে পারবেন। একবার ভাবুন, সারা বছরের পড়া আপনি পরীক্ষার আগে যেখানে ১ মাসে শেষ করতেন, সেখানে গ্রুপ স্টাডি করলে কত কম সময় লাগত।
৬) একটু স্বার্থপর হতে হবে। সবাইকে সবকিছু দেবেন। তারপরও কিছু কিছু নিজের কাছে রেখে দেবেন।  এগুলোই আপনার সাথে অন্যদের পার্থক্য তৈরী করবে।
৭) সবসময় সিনিয়ারদের থেকে হেল্প নিন। নতুন করে বার বার চাকা (নোট) আবিস্কার করার কোন মানে নেই।
৮) ব্যবহারিকে ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের সময় সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিন। ভিতরের কাজকে নয়। সোজা কথায়, যেটা চোখে দেখা যায় সেটা যেন অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হয়।
৯) ক্লাসের তথাকথিত ভাল ছাত্র/ছাত্রীর সাথে সর্বদা ভাল সম্পর্ক রাখবেন।
১০) মুখস্থবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা।
কোন কিছু যদি কোনরকম কুলকিনারা না করতে পারেন তাহলে হাফেজের মত মুখস্থ করবেন।

🌎🏪🏯 Ip Sohel Teaching Home ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি আপনার লেখাটি ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

আমাদের সেকশনসমূহ

আমাদের সেকশনসমূহ Select Category Global ইন্টারভিউয়ের সাতসতেরো এইচএসসি একাডেমিকস্‌ ক্যারিয়ার চাকরির খোঁজে! জীবন থেকে নেয়া জীবনযাত্রা জীবনী টেকনোলজি দৈনন্দিন পড়াশোনার টিপস প্রেরণামূলক গল্পের ঝুলি প্রোডাক্টিভিটি বিজ্ঞান বিবিধ ব্লগ ভিডিও ভর্তি পরীক্ষা ভ্রমণ লাইফ হ্যাকস সহশিক্ষা সাম্প্রতিক সিভির হালচাল সেরা বই স্কিল ডেভেলপমেন্ট 

🏥🏥
আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন
IP Sohel Teaching Home ব্লগে আমরা পাঠকদেরও উৎসাহিত করে থাকি তাদের পড়াশোনা-সংক্রান্ত যে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com


ভালো শ্রোতা হবেন যেভাবে

ভালো বক্তা হওয়ার মতো ভালো শ্রোতা হওয়াও একটা অসাধারণ গুণ। ধরুন, আপনি কাউকে খুব আগ্রহ নিয়ে কোনো ঘটনা বলছেন কিংবা আপনার আনন্দ কষ্টের কথাগুলো ভাগাভাগি করতে চাইছেন কিন্তু সেই মানুষটা মনোযোগ দিয়ে শোনা দূরে থাক, কোনো আগ্রহই প্রকাশ করছে না! আপনার কেমন লাগবে? আর কখনো তাকে কিছু বলতে ইচ্ছে হবে কি? হবে না। তাই ভালো শ্রোতা হওয়া খুব জরুরি। এই গুণ দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যায়, যাওয়া যায় তার খুব কাছাকাছি। অন্যের চোখে পৃথিবীটা কেমন তা জানা যায়।

চলুন দেখে নিই কী করে একজন ভালো শ্রোতা হওয়া যায়:

১) বেশি শুনুন, কম বলুন

কেউ যখন কথা বলে তখন তাকে বেশি বলার সুযোগ দিন। নিজে কম বলুন। মানুষের চোখে চোখ রেখে তার কথা শুনুন, এটি তাকে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে উপলব্ধি করাবে। বারবার দৃষ্টি সরানো কিংবা অন্য কোনো কাজ করা আপনার ব্যস্ততা ও তার কথা শোনায় অনাগ্রহ নির্দেশ করে।ম্পূরসম্পপক্ষ কথা বলছেন তখন শুধুই শুনুন। পরবর্তীতে সংক্ষেপে নিজের বক্তব্য তুলে ধরুন।

২) বক্তাকে বিচার করতে যথেষ্ট সময় নিন

বক্তার কোনো কথা তার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করলেও সাথে সাথেই তাকে বিচার করবেন না। ধৈর্য্যের সাথে শুনতে থাকুন। সম্পূর্ণ ঘটনা না জানা পর্যন্ত আপনি তার সম্পর্কে ধারণা পোষণ করতে পারেন না, কেননা পরবর্তীতে গল্পের কোনো ভিন্ন মোড় থাকতেই পারে!

আবার, কোনো সমস্যার কথা বলামাত্রই তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবেন না। আগে পুরো সমস্যাটা ভালোভাবে শুনুন, তার অবস্থানে নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করুন। তারপর ভাবুন কোন পথে গেলে তার জন্য মঙ্গল হবে। তাছাড়া বলা শেষ হলে বক্তা নিজেই তার অভিব্যক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবে যে তিনি এখন আপনার থেকে সমাধান বা পরামর্শ শুনতে চান। তাই সেই মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

৩) নিজের সাথে তুলনা করে কিছু বলবেন না

কেউ যখন তার কষ্টের কথা আপনার কাছে বলে তখন নিজের সাথে তুলনা করে কখনো কিছু বলবেন না। হোক আপনার কষ্ট তার কষ্টের থেকে বেশি। কারণ যার যার কষ্ট তার তার কাছে পাহাড়সম। ঐ সময়টাতে কষ্ট মেপে তাকে এর পরিমাণ বোঝানো সম্ভব না, তাই উচিতও না।

কথা শোনার সময় ‘আমি’, ‘আমার’ শব্দগুলো কম ব্যবহার করুন। এসব শব্দ আপনার আত্মকেন্দ্রিকতা প্রকাশ করে এবং বক্তাকে তার নিজের সম্পর্কে বলতে নিরুৎসাহিত করে.
 

৪) সহানুভূতি প্রকাশ করুন

বক্তা কথা বলার সময় তার কথায় সাড়া দিন। মাথা নেড়ে সম্মতি জ্ঞাপন করুন যাতে সে বুঝে যে আপনি তার কথা শুনছেন। অনুভূতিজ্ঞাপক অব্যয় শব্দ ব্যবহার করুন যখন যেটি প্রয়োজন। তবে হ্যাঁ, তাকে থামিয়ে দিয়ে নয় বরংতার বাক্যের ফাঁকে ফাঁকে। আর আপনার এই সাড়া যেন মিথ্যে না হয়, নতুবা তা তাকে ব্যথিত করবে।

৫) যা বলা হয়েছে মনে রাখার চেষ্টা করুন

এটি ভালো শ্রোতা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বক্তা যা বলে তা মোটামুটি মনে রাখার চেষ্টা করুন। নতুবা পরবর্তীতে আপনি এমন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে বসবেন যা তাকে বিব্রত করবে।

ধরুন বক্তা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, রোহানের সঙ্গে তার সমস্যা সম্পর্কে আপনাকে বলছে এবং আপনি আগে রোহানকে দেখেন নি। তো আপনি অন্তত তার নাম মনে রাখবেন যাতে আপনি বক্তার ঘটনার প্রবাহের সাথে আপনার মস্তিষ্ককে এগিয়ে নিতে পারেন। হতে পারে আপনি তুখোড় স্মৃতিশক্তির অধিকারী নন, সেক্ষেত্রে একবার জিজ্ঞেস করতেই পারেন, কিন্তু বারবার জিজ্ঞেস করাটা মোটেই উচিত না, এতে সে বুঝতে পারবে আপনি তার কথা ভালোভাবে শুনছেন না।

৬) পরবর্তীতে খোঁজ নিন

এমন যেন না হয় যে, আপনি কেবল কথোপকথনের সময়ই ব্যক্তির কথা শোনেন এবং পরবর্তীতে এটি সম্পর্কে চিন্তা করেন না। যদি আপনি সত্যিই দেখাতে চান যে আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাহলে আপনি পরবর্তী সময়ে যখন তার সাথে আবার দেখা হয় তখন অথবা মেসেজ বা ফোনকল করে জিজ্ঞেস করতে পারেন উক্ত ঘটনা সম্পর্কে এখন কী খবর ইত্যাদি ইত্যাদি।

অবশ্যই, খোঁজ নেয়া এবং বিরক্ত করার মধ্যে একটি পার্থক্য আছে। ধরুন, সে বলেছে তার চাকরি নিয়ে সমস্যা চলছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বারবার তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে বিব্রত ও বিরক্ত হবে। এমনকি তার মনে প্রশ্ন জাগবে আপনি কি এই প্রার্থনা করছেন কিনা যে তার চাকরি না থাকুক! সুতরাং খোঁজ নেয়াটা বিষয়ের উপরও অনেকটা নির্ভর করে।

পাওয়ারপয়েন্টে বানিয়ে ফেলুন আপনার সিভি!

পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেলতে পারেন আপনি!

তাই, আর দেরি না করে ১০ মিনিট স্কুলের এক্সক্লুসিভ এই প্লে-লিস্টটি থেকে ঘুরে আসুন, এক্ষুনি!

৭) যা করবেন না

আপনি একজন ভালো শ্রোতা হতে চান, সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় যা করা যাবে না, সেগুলো জানাটা অবশ্যই জরুরি।

১. বক্তা কথা বলার সময় তার একটি বাক্যের মাঝে তাকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলবেন না।

২. জেরা বা তর্ক না করে কিছু জানার বা বলার থাকলে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করুন।

৩. বিষয় পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না, এমনকি যদি এটি একটু অস্বস্তিকর হয়, তাও।

৪. কোনো সমস্যার কথা বলতে শুরু করামাত্রই বলবেন না “সব ঠিক হয়ে যাবে” বা “আরে সব শেষ হয়ে যাওয়ার মতো কিছু হয়নি।” এসব কথা তার সমস্যা বা অস্বস্তিবোধ লাঘব করে না। তাই মনোযোগ দিয়ে বরং তার পুরো সমস্যার কথাটি শুনুন। ভালো শ্রোতা হতে হলে মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ। 

৮) আপনার বিশ্বস্ততার আশ্বাস দিন

যদি বক্তা আপনাকে তার ব্যক্তিগত ও গোপন কিছু বলে, তাহলে আপনি এটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি যিনি নিজের মুখ বন্ধ রাখতে পারেন। বলুন যে সে আপনার উপর বিশ্বাস করতে পারে, যাই বলা হোক না কেন সেই কথা আপনার আর তার মধ্যেই থাকবে এবং আপনি মুখে যা বলেন সেটি করে দেখান। এরপরেও যদি সে আপনাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে না চায় তাহলে সে পুরোপুরি খুলে বলতে চাইবে না। এ থেকেই তা বুঝে নেবেন। সেক্ষেত্রে তাকে খুলে বলার বা আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য জোর করবেন না, কারণ এটি তখন আরও আপনাকে সন্দেহের সৃষ্টি করবে।

আর হ্যাঁ, যখন আপনি বলবেন যে, কথাটি গোপন থাকবে, তা যেন সত্য হয় অর্থাৎ আপনি যেন তা মন থেকে বলেন। যদি না এমন পরিস্থিতি থাকে যা আপনাকে এটি থেকে নিজের মধ্যে রাখতে বাধা দেয়। বস্তুতঃ আপনি যদি সত্যিই বিশ্বস্ত হতে না পারেন, তবে আপনি কখনোই একজন ভালো শ্রোতা হতে পারবেন না।

৯) বক্তার কথা পুনরাবৃত্তি করে তাকে উৎসাহিত করুন

মাঝে মাঝে বক্তার কথা পুনরাবৃত্তি করে তাকে উৎসাহিত করুন। যেমন প্রসঙ্গ সাপেক্ষে বলতে পারেন, “ওহ তার মানে আপনি সেখানে যাননি। আমি হলেও যেতাম না”

সারকথা পুনর্বিবেচনা করুন। বক্তা কী বলেছে আপনার নিজের ভাষায় তা পুনর্বিবেচনা করে বোঝার জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। এটি বক্তাকে আশ্বস্ত করে যে আপনি সত্যিই সে কি বলেছে তা শুনেছেন এবং তিনি যে অর্থে বলেছেন আপনি তা ধরতে পেরেছেন। যদি আপনি নিশ্চিত না হন যে আপনি ঠিক শুনেছেন বা বুঝেছেন কি না সেক্ষেত্রে কথাটি পুনরাবৃত্তি করার সাথে ‘আমি ভুল শুনে থাকতে পারি…’ বা ‘আমার ভুল হতে পারে….’ এমন বাক্যাংশ ব্যবহার করুন। একজন ভালো শ্রোতা বক্তাকে কথা বলতে উৎসাহ দেয়। 

কোনো সমস্যায় আটকে আছো? প্রশ্ন করার মত কাউকে খুঁজে পাচ্ছ না? যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে চলে যাও ১০ মিনিট স্কুল ফোরামে!

১০) অর্থপূর্ণ ও যৌক্তিক প্রশ্ন করুন

অর্থপূর্ণ ও যৌক্তিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা আপনার মনোযোগের সাথে কথা শোনা প্রমাণ করে। আপনি যদি ভালোভাবে বক্তার কথা বা ঘটনা শুনে থাকেন তাহলে আপনি শক্ত, সুন্দর, যৌক্তিক প্রশ্ন করতে পারবেন। অপরদিকে অবাঞ্চিত, অযৌক্তিক প্রশ্ন করলে বক্তা বুঝবে আপনি ভালোভাবে শুনেননি বা তার কথা বোঝেননি। শ্রোতা হিসেবে প্রাসঙ্গিক এবং যৌক্তিক প্রশ্ন করা আপনার আগ্রহের পরিচায়ক।

১১) পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রে…

পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হবে। কারও পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না, এমনকি বক্তারও না। নতুবা এর পেছনে আপনার স্বার্থ আছে কিনা তা সন্দেহ করবে। আপনার নিজের অভিজ্ঞতার প্রাধান্য দেবেন না, কেননা আপনার সাথে যা ঘটেছে তার সাথেও একই ঘটবে এমন কোনো কথা নেই। তাই আপনার অভিজ্ঞতার কথা কেবল উল্লেখ করুন এবং কোন পথে গেলে কেমন হবে বিস্তারিত বর্ণনা করুন। তারপর তার জন্য কোনটি উত্তম হবে বলে আপনি মনে করেন সেই মতামত জানান। তাহলেই তার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে।

পরামর্শদাতা হিসেবে একজন শ্রোতার কাজ হল বক্তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা, তার হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেয়া নয়।

১২) বক্তার অঙ্গভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করুন

এটি একজন ভালো শ্রোতা হবার অন্যতম পূর্বশর্ত। বক্তা অনেক ক্ষেত্রেই অঙ্গভঙ্গির মাঝে কথার বেশ খানিকটা লুকিয়ে রাখে। তার কথা শোনার পাশাপাশি তার অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য করলে তার কথা আরও গভীরভাবে সহজেই বোঝা সম্ভব।

আজ থেকে তবে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আয়ত্ত করার অনুশীলন শুরু হোক। আপনিও হয়ে উঠুন একজন ভালো শ্রোতা, যাকে মানুষ ভরসা করে, ভালোবাসে, যার সাথে সুখ-দুঃখের সব কথা ভাগাভাগি করতে চায়। এটি আপনার জন্য এক অসম্ভব ভালো লাগার অনুভূতি নয় কি?

Reference:

https://www.wikihow.com/


 Ip Sohel Teaching Home ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি আপনার লেখাটি ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

আমাদের সেকশনসমূহ

আমাদের সেকশনসমূহ  Select Category  Global  ইন্টারভিউয়ের সাতসতেরো  এইচএসসি  একাডেমিকস্‌  ক্যারিয়ার  চাকরির খোঁজে!  জীবন থেকে নেয়া  জীবনযাত্রা  জীবনী  টেকনোলজি  দৈনন্দিন  পড়াশোনার টিপস  প্রেরণামূলক গল্পের ঝুলি  প্রোডাক্টিভিটি  বিজ্ঞান  বিবিধ  ব্লগ ভিডিও  ভর্তি পরীক্ষা  ভ্রমণ  লাইফ হ্যাকস  সহশিক্ষা  সাম্প্রতিক  সিভির হালচাল  সেরা বই  স্কিল ডেভেলপমেন্ট 

আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন

IP Sohel Teaching Home ব্লগে আমরা পাঠকদেরও উৎসাহিত করে থাকি তাদের পড়াশোনা-সংক্রান্ত যে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

যেভাবে ক্যারিয়ার নির্বাচন করবেন

আমাদের অনেকের মতেই স্মার্ট ক্যারিয়ার মানেই চাকুরি। এর বাইরে যে সম্মানজনক আরও অনেক ক্যারিয়ার আছে, তা আমরা জানিই না। সবার কথা শুনে যখন একটা ক্যারিয়ার পথ বেছে নেই, দেখা যায় সে কাজ করতে গিয়ে তা আর ভালো লাগছে না, ক্যারিয়ার হয়ে পড়েছে বোঝা। গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকাতে একজন মানুষ গড়ে ৩ বার তার ক্যারিয়ার পথ পালটায়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা চাইলেও সম্ভব হয়না, কারণ আমরা শুধু মাত্র একটা কাজের জন্যই তৈরি হই, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের এটাই শেখায়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের দেশ গুলোতে ৮৯% মানুষই তাদের চাকরি পছন্দ করে না, এবং তারা পরিবর্তন করতে চায়।

এখন চাকরি পেতে আপনাকে যা জানা লাগবে, জেনে নিন সফট স্কিলস সম্পর্কে

😎 শুধু পড়ার বই নয়
পড়ার বইয়ের মধ্যে আটকে থাকলেই হবে না। চারপাশ সম্পর্কে, নিজের পছন্দের বিষয়ে, এমনকী যেটা অনেক সময়ই পড়তে ভাল লাগে না, কিন্তু কেরিয়ারের প্রয়োজনে পড়ে রাখা দরকার, সেগুলোও জেনে রাখতে হবে। মোট কথা, পড়ার একটা অভ্যেস তৈরি করতে হবে।

✋ রাইটিং স্কিল্‌স
যা ভাবছ, তা স্পষ্ট করে ভাষায় প্রকাশ করাটাও একটা দক্ষতা। তাই, যে কোনও ক্ষেত্রে যা লিখতে হবে, সে প্রজেক্ট রিপোর্টই হোক বা ক্লাস নোট্স, সব কিছুতেই যেন একটা পরিচ্ছন্নতা থাকে। বিশেষত, চাকরিতে যদি তোমাকে সহকর্মীর জন্য কোনও মেমো বা বস-এর জন্যে কোনও রিপোর্ট তৈরি করতে হয়, তা হলে বুঝতে হবে, কী লিখতে হবে, কতটা লিখতে হবে। কম কথায় সোজাসাপটা ভাষায় কোনও কিছু গুছিয়ে লেখার অভ্যাস করো। একই সঙ্গে মাথায় রেখো— লেখায় গ্রামার, পাংচুয়েশন, বানান যেন ঠিক থাকে।

🎧 লিসনিং স্কিল্‌স
এটাও এক দক্ষতা। যে কোনও কাজের জায়গাতেই যে অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে, অর্থাৎ যে ‘গুড লিসনার’, তার বা তাদের গুরুত্ব অন্য রকম। তাদের কিন্তু সংস্থায় প্রোডাকটিভ ওয়ার্কার হিসেবে দেখা হয়। কারণ তুমি যদি চট করে কোনও কথা শুনে বুঝে যাও তোমার কাছ থেকে কী চাওয়া হচ্ছে, তা হলে তোমারই কাজের সুবিধে। এতে বস-এর নেকনজরে পড়বে, সহকর্মীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হবে। ব্যক্তিগত জীবনেও এই অভ্যেস তৈরি করতে পারলে, জীবনে নানান সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অন্যান্য মানুষকে বোঝার অনেক সুবিধে হয়। তবে সবাই যে গুড লিসনার হয় তা নয়। আবার অনেক সময় যাঁদের মনে করা হয় গুড লিসনার, তাঁরাও এমন আচরণ করেন, দেখে মনে হবে তিনি কোনও মনোযোগই দিচ্ছেন না। যাঁরা মনোযোগ দিয়ে কথা শোনেন তাঁরা দেখবে কয়েকটা জিনিস করেন। যেমন, চোখে চোখ রেখে কথা বলা। অন্য ব্যক্তি যখন কথা বলেন, তখন তাঁর কথার মধ্যে কথা না বলা। অযথা উসখুস না করা। কথার মাঝে মাথা নাড়া। বক্তার দিকে সামান্য ঝুঁকে বসা। বক্তার কথা শেষ হয়ে গেলে তবেই প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা।

🏠 ভার্বাল কমিউনিকেশন
কাজের জায়গা হোক বা অন্য কোথাও, তুমি কী বলতে চাইছ সেটা স্পষ্ট করে বলা, কোন টোন-এ বলছ, কথা বলার সময় তোমার বডি ল্যাংগোয়েজ কেমন হচ্ছে, অনেক কিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখন কোনও কিছু নিয়ে কথা বলছ, সে বিষয়ে তোমার কী বক্তব্য, তা নিজের কাছে যেন পরিষ্কার থাকে। অনেকে খুব তাড়াতাড়ি কথা বলেন। আবার কারও কারও কণ্ঠস্বর এমনই যে কথা বোঝাই যায় না। ভার্বাল কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে কিন্তু তোমাকে খুব স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্যরা বুঝতে পারেন। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, ভাষা যেন হয় সহজ-সরল। আলঙ্কারিক ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করতে পারো তিনি তোমার কথা বুঝতে পারছেন কি না। এতে তোমাদের মধ্যে কমিউনিকেশনেই সুবিধে হবে।

📛 অর্গানাইজেশনাল স্কিল্‌স
কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা খুব গুছিয়ে কাজ করতে পারেন। এ ধরনের স্কিল যাঁদের থাকে, তাঁরা দেখবে কোনও হুড়োহুড়ি না করেই যে কোনও কাজ করে ফেলতে পারেন। একাধিক অ্যাসাইনমেন্ট খুব স্বচ্ছন্দে করে ফেলতে পারেন এবং তাদের কাজে ভুলও থাকে নামমাত্র।আমরা অনেকেই গুছিয়ে কাজ করতে পারি না। কিন্তু কয়েকটা জিনিস করলেই এই অভ্যাস তৈরি করে ফেলা যায়। প্রথম কাজই হল কাজের একটা তালিকা তৈরি করা। এ বার কোন কাজটা বেশি গুরুত্বের আর কোন কাজটা কম গুরুত্বের, সেটা ভাগ করে নাও। যেমন যেমন কাজ শেষ করছ, টিক মারতে থাকো। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা হাতে লেখার নোটবুক— যেটাতে তোমার সুবিধে, এই তালিকা বানিয়ে রাখো। প্রত্যেকটা কাজের জন্য একটা ডেডলাইন করে রাখো ক্যালেন্ডারে। দরকারে রিমাইন্ডার দাও। একটা রুটিন ফলো করো।
🐽
প্রফেশনালিজম
কাজের ক্ষেত্রে এই ওপরের শব্দটার গুরুত্ব যথেষ্ট। এর কারণে কাজের জায়গায় তোমার অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। এর জন্য কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এই সূত্রে কয়েকটা উদাহরণ দেওয়াই যায়।কাজের জায়গায় কিংবা মিটিং-এ দেরিতে পৌঁছনো একেবারেই নয়। এতে ধারণা হয়, তুমি কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছ না। একই নিয়ম খাটে লাঞ্চে যাওয়ার সময়েও। খেতে গিয়ে আড্ডায় অনেক ক্ষণ কাটিয়ে দিলে, এমনটা না করাই ভাল।বাড়িতে বা অন্য কোথাও ঝামেলার কারণে যদি মুড খারাপ হয়ে যায়, সেটা কাজের জায়গায় এনো না।জামাকাপড়ের দিকে নজর দাও। ফর্মাল পরো বা ক্যাজুয়াল, সেটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। সাধারণত উইকডেজ-এ ফর্মাল পরো। আর, উইকেন্ডে ক্যাজুয়াল।অনেকের অভ্যাস থাকে সহকর্মীদের সঙ্গে পরচর্চা করার। অফিসে এ সব না করাই ভাল।
কোনও ভুল করলে সেটা নিজের ঘাড়ে নাও। অজুহাত দিয়ে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কোরো না। ভুল থেকে শিক্ষা নাও।
হতেই পারে কোনও একটা বিষয়ে তোমার এক রকম মত, তোমার সহকর্মী বা বস-এর আর এক রকম। যদি তিনি তোমার মতামত গ্রহণ না করে নিজের মতটাই খাটাতে চান, অযথা রেগে যেও না বা চিৎকার-চেঁচামেচি কোরো না। তাঁকে বোঝাবার চেষ্টা করে দেখতে পারো, তুমি কোন দিক থেকে বিষয়টা দেখেছ। তার পরেও তিনি যদি রাজি না হন, বিষয়টা নিয়ে আর না এগনোই ভাল।

পিপল স্কিলস
কাজের ক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে কেমন ভাবে লোকের সঙ্গে মিশছ, সেটাই অন্যের কাছে তোমার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে দেয়। তোমার ব্যবহার, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এই সব কিছুই কিন্তু এক জন সফল মানুষ হতে খুব প্রয়োজন।অধিকাংশ মানুষেরই লক্ষ্য থাকে, যেখানে কাজ করছে, সেখানে এক সময় সে নেতৃত্ব দেওয়ার স্তরে পৌঁছবে। এই লিডারশিপ স্কিল তৈরি করতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন, দলের মধ্যে একটা মত প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে রাজি করানো একটা বড় ব্যাপার। তার জন্য নিজের চিন্তা এবং অনুভূতিকে ঠিকমত প্রকাশ করতে জানতে হয়। সবাইকে উৎসাহ দিয়ে বুঝিয়ে রাজি করানো এবং নিজের দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে অন্যের আস্থা অর্জন করাটাও একটা জরুরি শিক্ষা। যখন কোনও টিম-এ কাজ করছ, তখন কেবল ভাবনা এবং পরিশ্রম দিয়ে টিমকে সমৃদ্ধ করলেই হবে না। নিজেকেও সহকর্মীদের অনুভূতির সঙ্গে গড়েপিটে নিতে হবে; ঠিক কাজটা বের করে আনার জন্য প্রয়োজনে কঠোরও হতে হবে। টিমওয়ার্ক মানে কিন্তু একটা টিমকে দিয়ে কতটা কাজ করানো গেল তা নয়, একটা টিম নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কতটা কাজ করল, সেটাই আসল।

থিংকিং স্কিলস

অন্যে যা ভাবছে, সেটাকেই সহজে গ্রহণ করো না। নিজের ভাবনা-চিন্তা-কল্পনার ওপর জোর দাও। এখন চাকরির ক্ষেত্রে যা প্রতিযোগিতা, তাতে নিজের কাজে যে যত সৃষ্টিশীল হতে পারবে, সে তত এগিয়ে যাবে।সমস্যা হলে দেখবে অধিকাংশ মানুষ সেটা নিয়েই মেতে যায়। কিন্তু যে সমস্যা সমাধান করে, সে-ই লিডার হয়। ফলে ঠান্ডা মাথায়, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতির বিচার করে, সমাধানের পথ খোঁজাটা বুদ্ধিমানের কাজ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একটা বড় দক্ষতা। একটা পরিস্থিতি কী চাইছে, সেটা বুঝে নিয়ে এবং সেই পরিস্থিতির কী কী সমাধান হতে পারে, সেটা ভেবে তোমার যা ঠিক মনে হবে, সেই অনুযায়ী একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেকেই নানা রকম পথ বাতলাতে পারে, কিন্তু কোনও একটা পথ চিহ্নিত করতে বললে, দ্বিধায় পড়ে যায়। সেটা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারাটা খুব বড় গুণ। এই সব স্কিল কিন্তু শুধু কাজের জায়গায় সাফল্য পাওয়ার জন্য নয়। জীবনের প্রতি মুহূর্তে এর প্রয়োজন। পেশাদার জীবন আর ব্যক্তিগত জীবন নিশ্চয়ই আলাদা, কিন্তু একটা জীবন বাঁচতে হলে তার সাধারণ কিছু সমীকরণ থাকে, যা দুইয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। 

যেভাবে এড়িয়ে চলবেন ভুয়া চাকুরী


যেভাবে এড়িয়ে চলবেন ভুয়া চাকুরী

সার্কুলার প্রকাশ মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাঃ প্রথমেই আপনাকে বিবেচনায় আনতে হবে চাকুরীর সার্কুলার যেখানে প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য কিনা। জনপ্রিয় কিংবা বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন কোন মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া চাকুরীর সার্কুলার পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। সবসময় চেস্টা করবেন দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত জব পোর্টালগুলোর মাধ্যমে  চাকুরী খুঁজতে। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে।

 

নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে জানুনঃ না জেনে শুনে যে কোন চাকুরীতে আবেদনের অভ্যাস আজ থেকেই বাদ দিন। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। প্রতিটি চাকুরীতে আবেদনের পূর্বে নিয়োগদানে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন। বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেই কেবল আবেদনের দিকে পা বাড়ান। প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর সার্কুলার হলে তো কোন কথাই নেই। কিন্ত অচেনা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর আবেদনের পূর্বে যতটুকু সম্ভব উক্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিনতে জানতে চেস্টা করুন। বিশ্বস্ত মনে না হলে তখনই এড়িয়ে যান সেই সার্কুলার।

 

পত্র পত্রিকায় চোখ রাখুনঃ চাকুরীর বাজারে প্রতিনিয়ত ঘটছে হাজারো প্রতারনা। তাই আপনিও প্রতারিত হতে না চাইলে চোখ রাখতে হবে সংবাদমাধ্যমে। মানুষ কিভাবে প্রতারিত হচ্ছে, প্রতারকরা নতুন কি কৌশল নিচ্ছে। সেসব সম্পর্কে সবসময় অবহিত থাকতে হবে। কারন প্রতারকরা আপনার চাইতেও বেশী স্মার্ট। তাই তাদের প্রতারনার রাস্তাও সময়ের সাথে বদলে যায়। আর আমরা সচেতন থাকার পরও খুব সহজে তাদের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলি।

যেভাবে সনাক্ত করবেন প্রতারনামূলক চাকুরীর অফার

প্রতারনামূলক জবকে এড়িয়ে চলার জন্য প্রথমত আপনাকে সে ধরনের জব সার্কুলার চিনতে শিখতে হবে। আসুন জেনে নিই এধরনের ভুয়া চাকুরীর সার্কুলারের লক্ষনগুলোঃ

আকর্ষণীয় বেতন এবং লোভনীয় সুযোগ সুবিধাঃ ভুয়া চাকুরীর সার্কুলার গুলোতে মূলত আকৃষ্ট করতেই অতিরিক্ত মাত্রায় লোভনীয় সুযোগ সুবিধার উল্লেখ থাকে। সাথে থাকে আকর্ষণীয় বেতনের অফার।

 

ব্যক্তিগতভাবে জব অফারঃ প্রায়ই এরকম মেইল কিংবা অন্য মাধ্যমে কিছু চাকুরীর অফার পাবেন। যেটার সারমর্ম হল, তাঁরা আপনার সিভি/রিজিউমি অনলাইনে বা অন্য কোন সোর্সে পেয়েছে। তাঁরা আপনাকে চাকুরী দিতে চায়। এ ধরনের অফারগুলোর ৯৯ শতাংশই ভুয়া। প্রথমেই বিশ্বাস করে বসবেন না এমন অফার। ভালভাবে ভেরিফাই করে নিবেন। সাধারণত এভাবে খুব কম লোকই জব অফার পেয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদেরকে এভাবে কোন কোম্পানী অফার করে থাকে সেসব লোক অনেক প্রতিষ্ঠিত এবং সফল। সেকারণেই তাদেরকে অনেক প্রতিষ্ঠান জব অফার করে থাকেন। কিন্ত আপনি যদি হয়ে থাকেন একদম নতুন চাকুরী প্রার্থী। আর চাকুরীর এরকম অফার পেয়ে থাকেন। তাহলে মোটামুটি শতভাগ নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সেই চাকুরীর অফার ভুয়া।

 

আবেদনে অর্থ লেনদেনের শর্তঃ কোন চাকুরীতে আবেদনের শর্তই যদি থাকে অর্থের লেনদেন। তাহলে নিশ্চিত থাকুন, উক্ত চাকুরী পুরোপুরি ভুয়া। অর্থ আত্মসাতই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কারন কর্মী নিয়োগে ইচ্ছুক কোন প্রতিষ্ঠানই আবেদনে অর্থের লেনদেন শর্ত হিসেবে রাখেনা।

 

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়াঃকোন প্রতিষ্ঠান যদি চাকুরীর আবেদনের সময়েই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চায়। তবে বুঝে নিতে হবে চাকুরীর অফারটি ভুয়া। আপনার বেতন পাঠাতে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য প্রয়োজন বলেই বেশীরভাগ সময় প্রতারক চক্র দাবী করে থাকে। কিন্ত চাকুরীর নিয়োগ পাওয়ার আগেই এ ধরনের তথ্য চাওয়া মানেই প্রতারনা স্পষ্ট।

 

বিভ্রান্তিকর/সন্দেহজনক চাকুরীর বিবরনঃ ভুয়া চাকুরীর সার্কুলার ভালভাবে পড়লেই বুঝবেন তাদের অফার করা চাকুরীর বিবরন স্পষ্ট নয়। প্রতিটি ভ্যালিড চাকুরীর অফারে চাকুরী সংক্রান্ত প্রতিটি তথ্য অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা। কিন্তু ভুয়া জব সার্কুলারে স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট বিবরন পাওয়া যায়না।

 

আনপ্রফেশনাল সার্কুলারঃ একটি প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী নিয়োগের জন্য সার্কুলার প্রকাশ করে তাতে প্রফেশনাল কিছু ব্যাপার থাকে। যেমনঃ তাদের হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট নিয়োগের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রন করে, সার্কুলার প্রকাশ করা হয় বিশ্বাসযোগ্য জব পোর্টালে কিংবা স্বীকৃত পত্র-পত্রিকায়। কিন্ত এগুলোর কোনটাই খুঁজে পাবেন না ভুয়া জব সার্কুলারে। ভুয়া চাকুরীর অফার লেটারে অনেক সময় খেয়াল করবেন, যোগাযোগের ই-মেইল এড্রেস হিসেবে কারো ব্যক্তিগত ই-মেইল এড্রেস দেয়া আছে কিংবা সার্কুলার গুলো কোন বেনামী ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত। এ ধরনের জব সার্কুলারে কোনভাবে বিশ্বাস রাখবেন না।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা চাই-ই-চাই। তা না হলে আপনার জীবন অর্থহীন হয়ে পড়বে। আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজ যেগুলো নিজের এবং পরের উপকারী সেগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে নিয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকুন। ধরুন আপনি শীত ঋতুতে নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে তা বিতরণ করার মনোস্থ করলেন। কিংবা বাড়ির কাজে আপনার মা’কে আজ সাহায্য করবেন। যখন আপনি এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারবেন দেখবেন তখন আপনি আত্মতৃপ্ত হচ্ছেন। আর এই আত্মতৃপ্তি আপনার সুখকে বাড়িয়ে তোলে। 

তাই জীবনে শান্তি, আনন্দ কিংবা সুখকে বাড়িয়ে তুলতে আপনার অভ্যাসে পরিবর্তন এনে প্রতিনিয়ত চর্চা করতে থাকুন। দেখবেন অনাবিল সুখ আর আনন্দে আপনার জীবন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

🌎🏪🏯 Ip Sohel Teaching Home ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি আপনার লেখাটি ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

আমাদের সেকশনসমূহ

আমাদের সেকশনসমূহ Select Category Global ইন্টারভিউয়ের সাতসতেরো এইচএসসি একাডেমিকস্‌ ক্যারিয়ার চাকরির খোঁজে! জীবন থেকে নেয়া জীবনযাত্রা জীবনী টেকনোলজি দৈনন্দিন পড়াশোনার টিপস প্রেরণামূলক গল্পের ঝুলি প্রোডাক্টিভিটি বিজ্ঞান বিবিধ ব্লগ ভিডিও ভর্তি পরীক্ষা ভ্রমণ লাইফ হ্যাকস সহশিক্ষা সাম্প্রতিক সিভির হালচাল সেরা বই স্কিল ডেভেলপমেন্ট 

🏥🏥
আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন
IP Sohel Teaching Home ব্লগে আমরা পাঠকদেরও উৎসাহিত করে থাকি তাদের পড়াশোনা-সংক্রান্ত যে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

পরোপকারী হোন

নিজের মাঝে সহানুভূতির সঞ্চার করুন। অন্যকে সাহায্য করার জন্য উদ্যমী হোন। পরোপকারী কার্যকলাপ আপনার জীবনে প্রশান্তি বয়ে আনে। পরের ওপর নিজের মনের উগ্রতাকে দমিয়ে রাখে এবং আপনার মনে নির্মল প্রশান্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আপনি পরোপকারী হলে অন্যের সাথে দূরত্ব কমে যাবে। মানুষের ওপর ক্ষোভ কিংবা রাগের দমন ঘটবে। দার্শনিক এমারসন বলেছিলেন, “এক মিনিটের রাগ আপনার জীবন থেকে ষাট সেকেন্ডের সুখকে কেড়ে নেয়।” অর্থাৎ রাগ আপনার জীবনের জন্য বড়ই ক্ষতিকর। তাই পরোপকারী হোন যা আপনার জীবনের পরোক্ষ সুখের জন্য সহায় হবে। 

 Ip Sohel Teaching Home ব্লগের জন্য কোনো লেখা পাঠাতে চাইলে, সরাসরি আপনার লেখাটি ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

লেখাটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

আমাদের সেকশনসমূহ

আমাদের সেকশনসমূহ Select Category Global ইন্টারভিউয়ের সাতসতেরো এইচএসসি একাডেমিকস্‌ ক্যারিয়ার চাকরির খোঁজে! জীবন থেকে নেয়া জীবনযাত্রা জীবনী টেকনোলজি দৈনন্দিন পড়াশোনার টিপস প্রেরণামূলক গল্পের ঝুলি প্রোডাক্টিভিটি বিজ্ঞান বিবিধ ব্লগ ভিডিও ভর্তি পরীক্ষা ভ্রমণ লাইফ হ্যাকস সহশিক্ষা সাম্প্রতিক সিভির হালচাল সেরা বই স্কিল ডেভেলপমেন্ট 

🏥🏥
আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন
IP Sohel Teaching Home ব্লগে আমরা পাঠকদেরও উৎসাহিত করে থাকি তাদের পড়াশোনা-সংক্রান্ত যে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে।

আপনার যে কোনো লেখা/ মতামত আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: ipsohel0@gmail.com

Ip Sohel Rana

কি কারণে এই সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন SEO করা 

আপনাদর অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন আমরা এই SEO করবো।এর জন্য সবচেয়ে ভাল উত্তর হল ওয়েব সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য আমরা এই S...

Ip Sohel Rana