অনলাইনে অনেকগুলো সলিড বিজনেস আইডিয়া এর মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি, ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রয় অন্যতম। বর্তমান সময়ে অনেকেই হোস্টিং ব্যবসার প্রতি আগ্রহী। তাই অনেকেই আমাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। সবার মনে রাখতে হবে ওয়েব হোস্টিং ব্যবসা দ্রুত বড় লোক হওয়ার কোন রাস্তা নয়। প্রচুর ধৈর্য এবং কম্পিউটার এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে। সলিড ও সাকসেসফুল হোস্টিং কোম্পানি হওয়ার জন্য অবশ্য কম্পিউটার সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে। তবে অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ ও যদি কম্পিউটার এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকে, এই ব্যবসায় সফল হতে পারে। তবে দরকার প্রচুর ধৈর্য ও চেষ্টা।
হোস্টিং ব্যবসা শুরুর আগের প্রস্তুতি-
এই ব্যবসা শুরু করার আগে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন।
১) আপনি কত সময় এই ব্যবসার পেছন ব্যয় করবেন?
- প্রত্যেক গ্রাহক চায় ২৪ ঘণ্টা সাপোর্ট। এবং ব্যবসায় সফল হওয়ার পিছনে এটি একটি বড় ফ্যাক্টর। তাই নিজেকে আগে প্রশ্ন করুন আপনি গ্রাহককে ২৪ ঘণ্টা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে পারবেন কি না।
২) হোস্টিং সফটওয়্যার এবং হোস্টিং টেকনোলজি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কতটুকু?
- হোস্টিং ব্যবসা শুরু করার আগে হোস্টিং সফটওয়্যার ও সার্ভার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করেছেন কি? এ বিষয়ে যদি প্রয়োজনীয় জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি হোস্টিং ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকতে হবে।
৩) আপনি এই ব্যবসায় কত টাকা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন?
- আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন তা ঠিক করুন। হোস্টিং ব্যবসার জন্য লাগবে একটা ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়েব সাইট, বিলিং সফটওয়্যার, মার্কেটিং এর বাজেট ইত্যাদি।
৪) আপনি কি Employee নিয়োগ দিবেন?
- আপনি ঠিক করুন একাই ব্যবসা চালু করবেন নাকি Employee নিবেন। যদি একাই চালু করেন তাহলে আপনাকে একাই সেলস, টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে হবে এবং আপনার খরচ কম হবে। তবে আপনার সময় বেশি ব্যয় হবে।
হোস্টিং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স-
১) ডোমেইন (ব্যবসার নাম)
প্রথমেই আপনাকে হোস্টিং ব্যবসার জন্য সুন্দর একটি নাম ঠিক করে নিতে হবে। ডোমেইন পছন্দ বিষয়ক সাজেশনের জন্য এই লিংকটিদেখতে পারেন।
২) ওয়েব সাইট
- ওয়েব হোস্টিং ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনার একটা ওয়েব সাইট লাগবে। কারণ আপনার ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রিত হবে এই ওয়েব সাইট থেকেই। আপনি যদি নিজেই ওয়েব ডিজাইনার হন তাহলে নিজেই নিজের সাইট ডিজাইন করে নিতে পারেন। তাহলে আপনার খরচ কিছুটা কমবে। আর ডিজাইনার না হলে ওয়েব ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন যেকোন কোম্পানি হতে। খরচ পড়বে ২০০-১০০০ ডলার। অথবা আপনি চাইলে রেডিমেড ডিজাইন কিনে নিতে পারেন। খরচ পড়বে ২০-২০০ ডলার। ডিজাইন অনন্য ও হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কম বাজেট হলে ডিজাইন অনন্য হবে না। আমি সব সময় অনন্য ডিজাইন সাজেস্ট করি। কারণ একই ডিজাইন একাধিক সাইট ব্যবহার করলে এবং একই ভিজিটর দুটি সাইট ব্যবহার করলে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে। এবং অনেকেই মনে করতে পারে ডিজাইনটা কপি করা হয়েছে।
৩) বিলিং সফটওয়্যার
- হোস্টিং ব্যবসার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হচ্ছে বিলিং সফটওয়্যার। বিলিং সফটওয়্যার থাকলে আপনার সব কিছু হবে অটোমেশন। এতে আপনার ব্যবসার হিসাব রাখতে সুবিধা এবং পেমেন্ট অটোমেশন সুবিধা যোগ করলে গ্রাহক পে করার সাথে সাথে গ্রাহকের হোস্টিং অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে ইমেইলে ইনফো চলে যাবে। তাই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই বিলিং সফটওয়্যার আপনি যারা রিসেলার হোস্টিং/ভিপিএস/ডেডিকেটেড সার্ভারের সাথে ফ্রি দেয় তাদের থেকে পেতে পারেন অথবা বিলিং সফটওয়্যার ভেন্ডার সাইট থেকে ও কিনতে পারেন।
যদি সফটওয়্যার কিনেন তাহলে খরচ পড়বে মান্থলি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ১৩-১৬ ডলার। অথবা এককালীন টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ২৫০-৩৫০ ডলার
Billing Software Recommendations:
http://www.whmcs.com - The #1 rated billing management software.
http://www.clientexec.com - A very close match with WHMCS, in my opinion the design is much nicer and admin control panel is more user-friendly.
৪) রিসেলার হোস্টিং/ভিপিএস/ডেডিকেটেড সার্ভার
হোস্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনি রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস অথবা ডেডিকেটেড সার্ভার কিনতে পারেন। হোস্টিংয়ের প্রকারভেদ এবং পার্থক্য জানতে চাইলে ই লেখাটি দেখতে পারেন।
হোস্টিং কেনার আগে এই লেখাটি দেখতে পারেন।
মার্কেটে রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজ ৫-৫০ জিবি পর্যন্ত দেখা যায়। এবং দাম ৩৫০০-২৫০০০ টাকা বছর। সেবার মানের উপর নির্ভর করে এসব মূল্য।
No comments:
Post a Comment
Thanks