শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়।
নির্বাচিত কিছু পুরুষ সাহাবীর নাম :
সাহাবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন- চারজন খলিফা। মর্যাদা অনুযায়ী তাঁদের সুপরিচিত নাম বা উপনাম হচ্ছে-
আবু বকর (أَبُوْ بَكْر),
উমর (عُمَرُ),
উসমান (عُثْمَانُ),
আলী (عَلِيٌّ)।
এর পরের মর্যাদায় রয়েছেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বাকী ৬ জন সাহাবী।
তাঁদের নাম হচ্ছে- আব্দুর রহমান (عبد الرحمن),
যুবাইর (الزبير),
তালহা (طَلْحَةُ),
সাদ (سَعْدٌ),
আবু উবাইদা (أَبُوْ عُبَيْدَةُ),
সাঈদ (سَعِيْدٌ)।
এরপর মর্যদাবান হচ্ছেন- বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ।
বিশিষ্ট সাহাবী যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহ তার ৯ জন ছেলের নাম রেখেছিলেন বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৯ জন সাহাবীর নামে।
তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ (عَبْدُ الله)
, মুনযির (مُنْذِرٌ),
উরওয়া (عُرْوَةُ),
হামযা (حَمْزَةُ),
জাফর (جَعْفَرٌ),
মুস‘আব (مُصْعَبٌ),
উবাইদা (عُبَيْدَةُ),
খালেদ (خَالِدٌ),
উমর (عُمَرُ)।
ছেলে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম :
উসামা (أسامة-সিংহ),
হামদান (প্রশংসাকারী),
লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান),
রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল),
রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ),
মামদুহ (مَمْدُوْح-প্রশংসিত),
নাবহান (نَبْهَان- খ্যাতিমান),
নাবীল (نَبِيْل-শ্রেষ্ঠ),
নাদীম (نَدِيْم-অন্তরঙ্গ বন্ধু),
ইমাদ (عِمَاد- সুদৃঢ়স্তম্ভ),
মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), ম
াইমূন (مَيْمُوْن- সৌভাগ্যবান),
তামীম (تَمِيْم-দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ),
হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি),
(بَدْرٌ-পূর্ণিমার চাঁদ),
হাম্মাদ (حَمَّادٌ-অধিক প্রশংসাকারী),
হামদান (حَمْدَانُ-প্রশংসাকারী),
সাফওয়ান (صَفْوَانُ-স্বচ্ছ শিলা),
গানেম (غَانِمٌ-গাজী, বিজয়ী),
খাত্তাব (خَطَّابٌ-সুবক্তা),
সাবেত (ثَابِتٌ-অবিচল),
জারীর (جَرِيْرٌ- রশি),
খালাফ (خَلَفٌ- বংশধর),
জুনাদা (جُنَادَةُ- সাহায্যকারী),
ইয়াদ (إِيَادٌ-শক্তিমান),
ইয়াস (إِيَاسٌ-দান),
যুবাইর (زُبَيْرٌ- বুদ্ধিমান),
শাকের (شَاكِرٌ-কৃতজ্ঞ),
আব্দুল মুজিব (عَبْدُ الْمُجِيْبِ- উত্তরদাতার বান্দা),
আব্দুল মুমিন (عَبْدُ الْمُؤْمِنِ- নিরাপত্তাদাতার বান্দা),
কুদামা (قُدَامَةُ- অগ্রণী),
সুহাইব (صُهَيْبٌ-যার চুল কিছুটা লালচে) ইত্যাদি।
মেয়ে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম:
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম:
খাদিজা (خَدِيْجَةُ),
সাওদা (سَوْدَةُ),
আয়েশা (عَائِشَةُ),
হাফসা (حَفْصَةُ),
যয়নব (زَيْنَبُ),
উম্মে সালামা (أُمِّ سَلَمَة),
উম্মে হাবিবা (أُمِّ حَبِيْبَة),
জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ),
সাফিয়্যা (صَفِيَّةُ)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাবর্গের নাম:
ফাতেমা (فَاطِمَةُ),
রোকেয়া (رُقَيَّةُ),
উম্মে কুলসুম (أُمُّ كلْثُوْم)
আরো কিছু নেককার নারীর নাম-
সারা (سَارَة),
হাজেরা (هَاجِر),
মরিয়ম (مَرْيَم)।
No comments:
Post a Comment
Thanks